Header Ads

Header ADS

রক্তে রঞ্জিত আমাদের সীমান্ত



বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চলমান হত্যাকান্ডরক্তে রঞ্জিত আমাদের সীমান্ত


------- সাব্বির আহমেদ -------

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গত ১০ বছরে সহশ্রাধিক বাংলাদেশী নাগরিক বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আমাদের সীমান্ত। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধে বিএসএফের শীর্ষ ব্যক্তিদের কোনো প্রতিশ্রুতি কার্যকর হচ্ছে না। বরং দিন দিন বেড়ে চলেছে বাংলাদেশী হত্যা ও মানবাধিকার লংঘন। সীমান্তে হত্যা বন্ধে অতীতে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো বিএসএফ কর্মকর্তারা। বিডিআর-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন হলে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধের জোরালো প্রতিশ্রুতি দেন বিএসএফ মহাপরিচালক। তার এই প্রতিশ্রুতির পরও দেশে হত্যাকান্ড চলছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, সিলেট, শেরপুর, ফেনী, কুড়িগ্রামসহ সীমান্তবর্তী এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে মানুষ বিএসএফের আগ্রাসনের শিকার হয়নি। তাদের আগ্রাসী তৎপরতায় সীমান্তের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীন। তাদের সময় কাটে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর মৃত্যুর বিভীষিকার মধ্যে। সবারই ভয় আবার কখন গুলি চালায় বিএসএফ। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মেদিনিপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে মশিউর রহমান মশি নামে এক কৃষক নিহত হয়েছিল। গুলিতে আহত হয়েছিল আরো দুই বাংলাদেশী। মশিউর রহমান মশিনহ  ৪-৫ কৃষক বিকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় ভারতের পুটিখালি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যান্তরে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে মশিউর রহমান মশি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। চলতি বছরের ১৫ই জুন জীবননগর উপজেলার নতুনপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আম পাড়াকালে কিশোর শিহাব উদ্দিন সজল নিহত হয়েছেন। এসময় বিএসএফের নির্যাতনে আহত হয়েছে তার অপর ৩ সঙ্গী। শিহাব নতুনপাড়া সীমান্তের তারকাটার এপাশে বাগানের আম পাড়ার জন্য যায়। আম পাড়াকালে ভারতের ১১৩ বিএসএফের বানপুর ধইঞ্চার ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে ধরে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের একপর্যায়ে ৪ আম ব্যবসায়ী বিএসএফের কবল থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালালে শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে।  এঘটনায় নিহত শিহাব উদ্দিনের মা দেলওয়ারা বেগম ও ছোট বোন জেসমিন খাতুন দোষী বিএসএফ এর শাস্তি দাবী করেন। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে উপস্থিত নিহত শিহাবের পিতাসহ নির্যাতিত অপর ৩ তরুণনের জবানবন্দি নেওয়া হয়। নিহত শিহাবের পিতা মাহবুব হালসানা এসময় বিএসএফ কর্তৃক তার ছেলে হত্যার প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এতে কৃষ্ণনগর ১১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বানপুর কোম্পানী কমান্ডার ইন্সেপেক্টর অনুভব আত্রাইয়াসহ সাত বিএসএফ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
শুধু হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, পুশইন, গুলিসহ নানা অপকর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বিএসএফ। অপপ্রচারেও তারা কম যাচ্ছে না। গুলি করে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, নির্যাতন, মারধরসহ হাজারও অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে। এক সময় বিএসএফের তৎকালীন মহাপরিচালক মহেন্দ্রলাল কুমাওয়াত বলেছিলেন, ‘সীমান্তে রাতের বেলা কাঁটাতারের বেড়া কাটতে গেলে বিএসএফ বাংলাদেশীদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং এতে তাদের মৃত্যু হয়। অনেক ঘটনায় বিএসএফ চ্যালেঞ্জ করে ও আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছোড়ে।’ সীমান্তে যারা মারা যায় এরা সবাই ক্রিমিনাল। তাদের অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক। বিএসএফ মহাপরিচালকের এ ধরনের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার। সংস্থা থেকে বলা হয়, বিএসএফ মহাপরিচালকের এ ধরনের বক্তব্য সীমান্তে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে বৈধতা দেবে। অধিকারের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিহত ও আহতদের প্রায় সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। "সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জিরো পয়েন্ট থেকে বিএসএফ বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, হত্যা করছে। দিনাজপুর সীমান্তে মিজানুর রহমানের চোখ উপড়ে হত্যা করা হয়- যা পৃথিবীর জঘন্য ও ঘৃণ্য হত্যার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে, সীমান্তে মানুষ পরিবার নিয়ে নিরাপদ মনে করছে না। বাংলাদেশের কুমিল্লার একটি সীমান্তে বিনা উস্কানিতে এক বাংলাদেশীকে যে ভাবে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়, তা ভারতীয় টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজ দেখে হতবাক হয়েছে সারা বিশ্ব। "নিউইয়র্কের হিউম্যান রাইটস ফোরামের পরিসংখ্যান অনুসারে গত দশ বছরে ৯শ এর বেশী বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৪২৪ বাংলাদেশিকে।" "২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের ৯৪৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে ফেলানি খাতুন (১৫) নামে এক কিশোরীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রাখার পর বিএসএফ তাকে নিয়ে যায় এবং ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে"। "২০১০ সালে ৭৪ জনকে হত্যা করে বিএসএফ। এর মধ্যে ৫০ জনকে গুলিতে, ২৪ জনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এর আগে বিএসএফ-এর হত্যার শিকার হয়েছে ২০০৯ সালে ৯৬, ২০০৮ সালে ৬২, ২০০৭ সালে ১২০, ২০০৬ সালে ১৪৬, ২০০৫ সালে ১০৪, ২০০৩ সালে ৪৩, ২০০২ সালে ১০৫ ও ২০০১ সালে ৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক।"
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভারতের প্রতিশ্রুতি সত্বেও ২০১২ সালে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশীদের নিহত হবার ঘটনা বেড়েছে। বিএসএফ-এর দিক থেকে আতœরক্ষার্থে গুলি চালানোর কথা বলা হলেও বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা সেটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করছেন। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সর্বোচ্চ সংযত আচরণ করবে- ভারতের দিক থেকে এমন আশ্বাস বহুবার দেয়া হলেও সেটি তেমন একটা কাজে আসেনি বলে বলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এরকম আশ্বাসের পরও মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১২ সালে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হবার ঘটনা বেড়েছে। মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার' এর রিপোর্ট- "২০১১ সালে বিএসএফ-এর গুলিতে ৩১ জন মারা গেলেও ২০১২ সালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮ জন"। অধিকারের মি: খান বলেন, বিএসএফ- এর গুলিতে যখনই কোন বাংলাদেশী নিহত হয় তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাকে গরু চোরাচালানকারী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা দেখা যায়। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল অব: আজিজুর রহমান মনে করেন আতœরক্ষার জন্য বিএসএফ-র দিক থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয় সেটি যৌক্তিক নয়। তিনি বলেছিলেন সীমান্তে প্রানঘাতি অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ সেটিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছেনা। বিশ্বাসযোগ্য অজুহাত ছাড়া তারা প্রায়ই বলে আতœরক্ষার্থে তাদের গুলি করতে হয়। সীমান্ত পারাপারকারীরা যদি চোরাকারবারীও হয়, তাহলে তাদের দ্বারা বিএসএফ আক্রান্ত হওয়া মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেন বেসামরিক মানুষকে মোকাবেলার জন্য যদি গুলি করতেও হয় তাহলে এমন জায়গায় সেটি করতে হবে যাতে প্রানহানি না হয়।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রেকর্ড অনুসারে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফসহ ভারতীয় নাগরিকদের হাতে ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০৫ বাংলাদেশী নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বিএসএফের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন ৯৪০ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ৯৪৫ জন, নিখোঁজ হয়েছেন ১৮৮ জন ও পুশইনের শিকার হয়েছেন ২৪০ জনের বেশি এবং ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭ নারী। বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার মাধ্যমে বিএসএফ বাংলাদেশ সরকারকেই বারবার অপমান করছে। আমাদের সরকারের উচিত তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো এবং বিডিআরকে তার সমুচিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া। ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা ও আহত হলে ভারতের কাছ থেকে তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অতীতে বিভিন্ন সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ের আলোচনা সর্বোপরি বিডিআর-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনায় এসব হত্যাকান্ড নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়নি। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩শ ১২ বার হামলা চালানো হয়। এতে ১২৪ বাংলাদেশী নিহত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত, ‘৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১, ৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩, ৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়। 
"আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুসারে কোনো দেশ অন্য দেশের নাগরিককে হত্যা করতে পারে না। কেউ যদি অন্যায় করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে সে দেশের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এসবের কোনোটিই বিএসএফ মানছে না। তাদের গুলিতে যত মানুষ মারা গেছে তার প্রায় সবই বাংলাদেশি। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার জনগণই সাক্ষী, বিএসএফ কীভাবে সীমান্ত এলাকায় হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, জবরদখল ও পুশ-ইনে জড়িত। সীমান্তবাসীর সাহসী প্রতিরোধে ওরা মাঝে মাঝে হটে যেতে বাধ্য হয়। সীমান্তে ওদের আগ্রাসী তৎপরতা অতি সাধারণ ঘটনা। রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকার একজন বাসিন্দা আবু আলম বলেছিলেন সীমান্তে অন্যান্য অপরাধী তৎপরতার ক্ষেত্রে গুলি চালানোর খবর শোনা যায় না। যখন ভারত থেকে ফেনসিডিল চোরাচালান হয় তখন বিএসএফ-এর দিক থেকে গুলি করা হয়না। অথচ "গরু চোরাচালানের সাথে ভারতীয়রা জড়িত থাকলেও গুলিতে কেবল বাংলাদেশীরাই নিহত হচ্ছে"। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাত্র একদিনে ৩ বাংলাদেশীকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ এবং ভারতীয় লোকজন। কুষ্টিয়া সীমান্ত থেকে ৫ বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এসব নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করলেও বাংলাদেশ সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। পর্যবেক্ষক মহল আরো বলছেন, বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধে বিএসএফ কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ভারতীয় ছিটমহলের ভেতর গণপিটুনিতে এক বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হন। ওই বাংলাদেশীর লাশ ফেরত না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা ছিটমহলের ভেতরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। 
বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের মর্যাদা না দিয়ে ভারতীয়রা বার বারই বাংলাদেশীদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করছে; যার ধারাবাহিকতায় সীমান্ত এলাকায় কৃষক, ব্যবসায়ী, নারী, শিশু কেউই এখন নিরাপদ নন। 

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট                                                 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.